লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় একটি মাদ্রাসা দখলের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব ভেলাবাড়ী রাজ্জাকিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার নামে ভূয়া ইস্তেফা পত্র ও স্বাক্ষর জাল করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মোঃ শরীফুল ইসলাম।
এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা করে জানা যায়, ১৯৭৮ সাল থেকে পূর্ব ভেলাবাড়ী রাজ্জাকিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার সাইনবোর্ড ছিলো মাদ্রাসা নামে থাকা রেকর্ডভুক্ত জমির উপর। কয়েক মাস আগে হঠাৎ এমন একই মাদ্রাসার নামে পাশে চাতালে রাতারাতি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে থাকতে দেখা যায়।
এলাকাবাসী আরও বলেন, মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলার রহমান অবসরে যাওয়ার পর তার স্থানে আব্দুল কাদের দায়িত্ব পান। তারপর থেকে আব্দুল কাদের স্বৈরাচার সরকারের মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ এর এপিএস মিজানের পরামর্শে নিজের মতো করে কমিটি তৈরি করে সরকারি বরাদ্দ নিয়ে হরিলুট করেছেন। আব্দুল কাদের স্বৈরাচারী ক্ষমতা দেখিয়ে নিজের স্ত্রী ও আত্মীয়-স্বজনকে শিক্ষক বানিয়েছেন।
এমনকি পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও দাতার ছেলেরা তার কাছে জানতে চাইলে মন্ত্রীর এপিএস মিজান মিলে মিথ্যা মামলা করেন।
এলাকাবাসীর কথার সাথে মিল পাওয়া যায় মাদ্রাসার মৌলভী শিক্ষক শরীফুল ইসলামের অভিযোগে। তিনি বলেন, ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি সহকারী শিক্ষক জুনিয়র মৌলভী পদে যোগদান করি। তারপর সরকারি সম্মানি পাই। মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে কষ্ট করে আছি এই আশায় যে মাদ্রাসাটি সরকার একটা সময় এমপিও করবে। এখন এই সময় আমাকে সরানোর চেষ্টা ও মাদ্রাসার সাইনবোর্ড অন্যস্থানে সরানোর বিষয়টি শিক্ষক আব্দুল কাদেরের যোগসাজশকে দায়ী করি। তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া ইস্তেফা পত্র, ভূয়া রেজুলেশন তৈরী করে স্বাক্ষর জাল করে নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে আমাকে সরাতে ভূয়া ইস্তেফা পত্র দেখাইয়া দুইটি ভূয়া ইস্তেফা পত্রও তৈরী করে। যা প্রথমটির সাথে পরেরটির রয়েছে অসঙ্গতি।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের ৩০ দিকট ৮০কে তিলে তিনি এর কোন উত্তর না দিয়ে কোন কেটে দেন।
আদিতমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন জানান, ওই মাদ্রাসার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য যে, দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা ছকির উদ্দিন অত্র মাদ্রাসার নামে গত ১৯৭৮ সালের ৮ জুন জমি দান করেন। যার দাগ নং ১৯ মোট ১৩৭ শতাংশ জমির মধ্যে ১০০ শতাংশ দলিল নং ১০০৮৯/৭৮। যা পরবর্তীতে বিআরএস রেকর্ড ভুক্ত হয়। বিআরএস খতিয়ান নং-৩৭৭ দাগ নং ২৩ মালিক দং পূর্ব্ব ভেলাবাড়ী রাজ্জাকিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসা পক্ষে সেক্রেটারী ১০০ শতাংশ এর মধ্যে ৯০ শতাংশ জমির শ্রেণি মাদ্রাসা রেকর্ড ভুক্ত হয় এক রেকর্ডভুক্ত জমির উপর অত্র মাদ্রাসা রয়েছে। এখন সকল কিছু রহস্য।